জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘অতীতে নির্বাচন ভালো হয়নি, এবারে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না ভোটের পরিবেশ কেমন থাকে।’
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিজ নির্বাচনি এলাকা রংপুর-৩ এর ধাপ এলাকায় গণসংযোগ ও কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ও স্টাফদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। আমাদের কিছু প্রার্থীর নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই। তাই হয়তো তাদের কেউ কেউ নিজেদের নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছেন। এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। তবে, বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেলে দলের জন্য চাপ সৃষ্টি হবে। এমন হলে তখন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গিকারের প্রেক্ষিতে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে, ইতোমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় এর ব্যাত্যয় ঘটছে। আমাদের ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। তাদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়ার মতো না। ব্যতিক্রম কিছু ঘটলে পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত।’
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছিরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রংপুর-৩ সদর আসনে জিএম কাদের ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম ‘রানী’ ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ধারণা, ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন। পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।
নদী বন্দর/এসএইচবি