সততার প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে ঘুস-দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ পেলে সংশোধনের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রয়প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হলেও শাস্তি দেওয়া হবে। আজ থেকেই এ নীতি অনুসরণ শুরু হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোনো কিছু গোপন করা যাবে না। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তা প্রকাশ করতে হবে। অভিযোগ ও পরামর্শ পাওয়ার একটি সুষ্ঠু সিস্টেম তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বিটিসিএল গড়ে তুলতে ৩০ জুনের মধ্যে আয়ের লাভজনক উৎস বাড়াতে হবে। যেগুলোতে লাভ নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। যেখানে অপচয় হচ্ছে, তা কমাতে না পারলে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
বিটিসিএল কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিসিএলের কোনো কিছু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হবে না। আবেগতাড়িত হওয়া যাবে না। কোনো গোষ্ঠী বা সিন্ডিকেটের প্রভাবেও হবে না। যেটা দেশ ও মানুষের জন্য ভালো, শুধু সেটাই হবে। সময়, অর্থ ও ব্যয় রোধ করে সেবার মান বাড়ানোই হবে আমাদের লক্ষ্য। আর এসব কিছুই হবে ডাটা অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে।
মতবিনিময় সভায় বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বার্ষিক নীরিক্ষা প্রতিবেদন, অভ্যন্তরীণ অডিটের পাশাপাশি আগামী মাসের মধ্যে এক্সটার্নাল আইটি অডিট করারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বোর্ড অব ডিরেক্টরের বাইরে থেকে দক্ষ প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে গত পাঁচ বছরের বোর্ড মিটিংয়ের তথ্য, শূন্য পদের তালিকা, চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা এবং করপোরেট স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান ও বার্ষিক পারফরমেন্স এগ্রিমেন্টের নথিপত্র চেয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসাইনসহ সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি