স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন জনকল্যাণমূলক হলে আমরা স্বাগত জানাবো। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কিছু হলে তা প্রতিহত করা হবে। বর্তমান সরকার দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নীতিতে চলছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পোড়া ইটের পরিবর্তে ব্লক ইট ব্যবহার করতে মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এটার জন্য জনবল দরকার এবং মানুষের আগ্রহও দরকার। আমার মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতষ্ঠানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে ব্লক ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও ব্লক ইট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা করা হচ্ছে। তবে প্রথমদিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। সময় লাগবে।
মন্ত্রী বলেন, বলা হয়েছে উন্নয়ন চলবে এবং যখন যখন যেখানে যেখানে দুর্নীতি চিহ্নিত করা হবে সেখানে প্রতিহত করা হবে। তা চলছেও। এটাকে অনেক ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সিলেট সিটির বর্ধিত এলাকার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সিলেটের উন্নয়নে এমন অনেক প্রকল্প চলমান। যা অন্যান্য সিটিকে দেওয়া হয়নি। সুতরাং উন্নয়নে সিলেট পিছিয়ে এটা বলা যাবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, পদ পদবী অনেকে পায়, কিন্তু গণমানুষের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করার মানুষ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। সিলেটের উন্নয়নে মেয়র হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যাকে খুঁজে বের করেছেন তাঁর মতো মানুষ পাওয়া দুষ্কর। সে হিসেবে সিলেটবাসী অনেক ভাগ্যবান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে একদিনের সরকারি সফরে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিমানযোগে সিলেট পৌঁছান মন্ত্রী। পরে সকাল ১০টায় তিনি নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকায় সিটি করপোরেশেনের নির্মিত ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন।
সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি করপোরেশনের নির্মিত ডুপ্লেক্স অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট উদ্বোধন করেন। সফরসূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেল আড়াইটায় দক্ষিণ সুরমাস্থ ময়ুরকুঞ্জ কনভেনশন হলে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন মন্ত্রী।
নদী বন্দর/এসএইচবি