এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সদস্য দেশসমূহের মধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কার্যকর ও টেকসই কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে এফএওর আরও সক্রিয় পদক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
মঙ্গলবার সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের (এপিআরসি৩৭) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সদস্যদেশগুলোর বৈচিত্র্যকে বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এফএওর সহযোগিতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষ করে, যেসব দেশে ফসলের উৎপাদনশীলতা কম, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সারসহ কৃষি উপকরণের আমদানি নির্ভরতা, ফসলের সংগ্রোত্তর অপচয় বেশি, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের আধিপত্য বেশি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতে ও ভ্যালু চেইন পিছিয়ে আছে এবং শ্লথ ও কম যান্ত্রিকীকরণ-সেসব দেশে আরো বিস্তৃত সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি জমি হ্রাস ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এছাড়া, দুর্বল বিপণন ব্যবস্থা এবং রপ্তানি বিধিনিষেধের মতো বিষয়গুলো খাদ্য নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আগেরবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণার জন্য ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নে এফএওকে আহ্বান জানান মন্ত্রী।
৪ দিনব্যাপী এফএওর চলমান আঞ্চলিক সম্মেলন শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪০টির বেশি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। এই আঞ্চলিক সম্মেলন আগের বার ২০২২ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজক ছিল।
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে মন্ত্রী এফএওর মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু এবং কমিটি অন ওয়ার্ল্ড ফুড সিকিউরিটির চেয়ারপার্সন ও রোমে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত নসিফো নাউস্কা জ্যান জেজিলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মাহমুদুর রহমান এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর/এসএকে