সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২০১৯ সালেরই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। অর্থাৎ বাইডেন বনাম ট্রাম্পের নির্বাচনী যুদ্ধ দেখতে চলেছে বিশ্ব। প্রায় সাত দশক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরপর দুবার একই প্রতিদ্বন্দ্বীরা লড়তে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বাইডেন। আর গত সপ্তাহে নিকি হ্যালি নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে নিশ্চিত হয়ে যায় যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হয়ে লড়বেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বাইডেনের সর্বনিম্ন ১৯৬৮ জন প্রতিনিধির ভোট প্রয়োজন ছিল। মঙ্গলবার শুরু হওয়া জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনেই সেই সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি। মার্কিন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এর বাইরে মিসিসিপি, ওয়াশিংটন, নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ড ও বিদেশে অবস্থানরত ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের প্রতিনিধিদের ভোট গণনাও চলছে।
বাইডেনের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়নও নিশ্চিত হয়। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ১ হাজার ২১৫ প্রতিনিধির ভোট পেয়ে গেছেন তিনি।
জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, এবার ভোটারদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা দেশের ভবিষ্যৎটা কেমন দেখতে চান। আমরা কি আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করবো নাকি সেটাকে ধ্বংস করে দেবো? আমরা কি আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করার অধিকার বলবৎ রাখবো নাকি সেই অধিকার চরমপন্থীদের হাতে তুলে দেবো?
তবে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগসহ নানা অভিযোগ নিয়ে আইনি ঝামেলায় আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেগুলো বাধা না হয়ে দাঁড়ালে বাইডেন বনাম ট্রাম্প লড়াই এক প্রকার নিশ্চিত। আগামী কয়েক মাস চলবে দুই নেতার বাকযুদ্ধ। তারপর বছরের শেষ দিকের নির্বাচনে নিশ্চিত হয়ে যাবে শেষ হাসি কে হাসবেন।
সূত্র: বিবিসি
নদী বন্দর/এসএইচবি