জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া নৈতিকতার ভেতরে পড়ে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) মহামারি করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে পিরোজপুর জেলার ক্ষতি ও তা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির করা প্রতিবেদন প্রকাশ ও আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
একই সঙ্গে করোনা ও আম্ফান মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় পর্যায়ের সহযোগিতায় একসঙ্গে দুটি দুর্যোগ মোকাবিলা করা সহজ হয়েছে।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ১২ লাখ বাসিন্দার পিরোজপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক হাজার ২০০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের সব নেতাকর্মী ও জনগণের একসঙ্গে কাজ করার কারণে ভাইরাসের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার সব পর্যায়ে সমস্যায় পড়া মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে যেমন জেলা প্রশাসন দাঁড়িয়েছে পশুপাখি যেন খাদ্যাভাবে হিংস্র হয়ে না ওঠে সেদিকে লক্ষ রেখে কুকুরসহ অন্যান্য পশুপাখির খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠানে, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারলে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ একদিকে যেমন হবে কাঠামোগতভাবে শক্তিশালী তেমনি তা হবে জনবান্ধব ও প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। একই সময়ে, সরকারি ত্রাণ তৎপরতা জনগোষ্ঠীভিত্তিক না হয়ে তা দরিদ্রতা বা দরকারভিত্তিক হলে তা বেশি কার্যকর হবে। তবে, এসব ক্ষেত্রে তথ্য প্রাপ্তির পর্যাপ্ততার অভাব অনেক সময়ই বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এ সময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডাক দিয়ে যাই’র নির্বাহী পরিচালক শাহজাহান গাজী বলেন, পিরোজপুরে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেওয়া কৃষি প্রণোদনা ও করোনাকালের আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া প্রণোদনা জেলার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
এ সময় পিরোজপুর থেকে যোগ দেওয়া স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা জানান, করোনাকালে দেওয়া আড়াই হাজার টাকার প্রণোদনা পর্যাপ্ত ছিল না, এমনকি কৃষিবিষয়ক উদ্যোগও পর্যাপ্ত নয়। নতুন করে দরিদ্ররা বেশি বিপদে পড়েছেন। কারণ তাদের আয় কমার তথ্য অনেক সময়ই সঠিক সময়ে পাওয়া যায়নি। আবার, পিরোজপুর শিল্পাঞ্চল না হওয়ায় সেখানে এখনও কর্মসংস্থান নিয়ে হিমশিম অবস্থার মধ্যে রয়েছেন সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
নদী বন্দর / পিকে