পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকার বলেছেন, এবারের বাজেট হবে জনগণের বাজেট। হতাশার কিছু নাই। আমরা এক লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে শুরু করেছি। এবার ইনশাআল্লাহ আমরা ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট করব।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রিসার্চ এন্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, বাজেট শুধু ভোটের সংখ্যা নয় অঙ্ক নয়। বাজেট শুধু মোট আয়-ব্যয়ের হিসাবও নয়। বাজেট প্রণীত হয় কয়েকটি বিষয় নিয়ে। প্রথম বিষয়টি থাকে একটি সরকারের রাজনৈতিক অভিলাষ, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও মানুষের প্রতি সরকারের যে দায়বদ্ধতা তার উপর। প্রতিটা সরকারের একটা পলিটিক্যাল অ্যাজেন্ডা থাকে। সেই অ্যাজেন্ডাকে অর্থনৈতিকভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাজেট দিতে হয়।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা হয়ত আছে কোনো কোনো জায়গায়। তবে এর সঙ্গে আমাদের অর্জনগুলোকেও বিবেচনা করতে হবে। আমাদের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, মানুষের চাহিদার ধরন বেড়েছে। একসময় মানুষের ভাত-কাপড়ের দাবি ছিল। এখন মানুষ সুন্দর জীবনযাপনের দাবি করে। এগুলো কিন্তু আমাদের অর্জন। এগুলোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, একটা প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হলে দু-মুখো সমস্যা হয়। একটা আমাদের ইউটিলিটি লেভেলের সমস্যা হয় আরেকটা আমাদের সম্পদের দায়টা বেড়ে যায়। এই দুটোই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এই ব্যাপারে আমাদের মন্ত্রণালয় সতর্ক আছে, প্রকল্পগুলো যেন বাস্তবসম্মত হয় এবং দ্রুত সমাপ্ত হয়।
আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহিদী বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণ কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমে গিয়েছ। এটা কিন্তু প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারছে না। এটি প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে কর কোথায় কাজে লাগছে। যদি মানুষ এটার সুবিধা বুঝতে পারে এবং এর প্রতি আস্থা তৈরি হয়, তাহলে কিন্তু মানুষ কর দিতে আগ্রহী হবে।
নদী বন্দর/এসএইচ