তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ৭ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। খবর এএফপির।
তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল এবং রাজধানী তাইপেই ছাড়াও জাপানের দক্ষিণাঞ্চল, চীনের পূর্বাঞ্চল এবং ফিলিপাইনে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর গভীরতা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের পর পরই তাইওয়ান ও এর প্রতিবেশী দেশ জাপান, ফিলিপাইনে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। স্থানীয় সময় বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এদিকে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলছে, জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৯টার কিছু সময় আগে তাইওয়ানের কাছে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। প্রাথমিক ভাবে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ওই ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭ দশমিক ৭ বলে জানালও পরবর্তীতে এর মাত্রা ৭ দশমিক ৫ বলে জানানো হয়।
দেশটির ভূমিকম্পবিষয়ক সংস্থা বলছে, তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে সময় ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং প্রায় পাঁচশর মতো ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
জাতীয় দমকল সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতরা সবাই হুয়ালিয়েন কাউন্টির বাসিন্দা। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৩৬ জন। তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্ধশতাধিক মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় তাইওয়ানে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে হংকংয়ের বাসিন্দারাও জানিয়েছেন যে, তারা ভূমিকম্প টের পেয়েছেন।
নদী বন্দর/এসএইচ