স্কাউট আন্দোলনকে আরও সম্প্রসারিত ও বেগবান করার মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট নেতাদের কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
‘৫২তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘৫২তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ স্কাউটস এর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলাদেশ স্কাউটস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিশু, কিশোর ও যুবদের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউট আন্দোলন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে স্কাউট এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্কাউটিং আনন্দের সাথে শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিশু কিশোরদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দেশে স্কাউটিং এর সূচনা করেন এবং স্কাউটিংকে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করেন। প্রতিষ্ঠার ৫২ বছরে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কাউটদের স্মার্ট, আত্মনির্ভরশীল ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ স্কাউটস প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। স্কাউট আন্দোলনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘স্কাউটিং এর মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করতে হবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট স্কাউটিং দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে স্মার্ট স্কাউটিং এর মাধ্যমে যুবসমাজকে সৎ, আদর্শবান, স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের প্রয়োজন।’
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ স্কাউটস-এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করেন।
নদী বন্দর/এসএস