বুড়িগঙ্গা নদীর বাবুবাজার সেতু, টঙ্গী রেলওয়ে সেতুসহ ঢাকার চারপাশের নদীতে নৌচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ১৩টি স্বল্প উচ্চতার সেতু ভেঙে নৌচলাচল উপযোগী সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ ও নাব্য বাড়াতে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা শহরের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা পাঁচটি নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ২২টি সেতু। যার মধ্যে উচ্চতা সংকটের কারণে ১৩টি সেতু নৌপরিবহনে বাধা তৈরি করছে। আমাদের ঢাকার চারপাশে যে সমস্ত নদী আছে, সেগুলোর ওপর পরিবহন ব্যবস্থার জন্য বেশকিছু ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নৌপরিবহন ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
‘ফলে ব্রিজগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি না করার কোনো উপায় নেই। না হলে নৌপরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। এ লক্ষ্যে ১৩টি সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত ১৩টি ব্রিজের মধ্যে এলজিইডির ৬টি, সেতু বিভাগের ৬টি, আরেকটি রেল মন্ত্রণালয়ের। এগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি করে যাতে নৌপরিবহন ব্যবস্থা সচল করা যায় সে জন্য টেকনিক্যালি কাজ আরম্ভ করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন ব্যবস্থা সচল করতে হলে এই সেতুগুলো ভাঙতে হবে। এ জন্য এলজিআরডি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ঢাকার চারপাশে নদীগুলো দখলমুক্ত করার কাজ চলমান। দখলমুক্ত আমাদের শিপিং মিনিস্ট্রি করছেন, ওয়াটার মিনিস্ট্রি করছেন। সিটি করপোরেশনগুলো তাদের এলাকার মধ্যে করছেন। দখলমুক্ত করার এ অভিযান অব্যাহত আছে।
দখলমুক্ত স্থানগুলোর পুনর্দখল ঠেকাতে সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৌশলগত অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নদীদূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোর তীরে যে সমস্ত শিল্প-কারখানা আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই হাজার ১০৪টি শিল্প-কারখানার মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনেকগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। আর এক হাজার ৪০০টি প্রতিষ্ঠান ইটিপি সচল করতে সক্ষম হয়েছে।