কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ঝড় এবং আকস্মিক বন্যায় বুধবার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু বাড়ি-ঘরও ভেসে গেছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এল নিনোর কারণে সেখানে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেছে। নাইরোবিতে রাস্তা-ঘাটে বন্যার পানিতে যানবাহন আটকা পড়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কমান্ডার ফ্রেড আবুগা বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। নাইরোবির কাউন্টি গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
কেনিয়ার আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করেছে যে, মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বন্যা মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে প্রধান সড়ক অবরোধের ঘটনায় বুধবার পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
কেনিয়ার রেলওয়ে জানিয়েছে, তারা সাময়িক সময়ের জন্য কমিউটার ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করছে। সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর চারটি রাস্তা আংশিকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
নাইরোবিতে থাকা উবার চালক কেলভিন মওয়াঙ্গি বলেন, শহর স্থবির হয়ে পড়েছে কারণ অধিকাংশ রাস্তাই প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে আমরা সময় মতো গন্তব্যেও পৌঁছাতে পারছি না।
গত বছরের শেষের দিকে কেনিয়া, সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়ায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ১৯৯৭ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯৮ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত ভয়াবহ বন্যায় আফ্রিকার পাঁচ দেশে ৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
নদী বন্দর/এসএইচ