গত ২৫ এপ্রিল তিনদিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই হিট অ্যালার্টের মেয়াদ শেষ হচ্ছে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে ফের তিনদিন বা ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।
এদিকে দেশে শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোটামুটি শুক্রবারের মতোই রয়েছে। তবে ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
একদিন আগে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এটিই এখন পর্যন্ত চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। শনিবার চুয়াডাঙ্গা ছাড়া দেশের কোথাও দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে নেই।
তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাঁসফাঁস করছে মানুষ। নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের। তাপমাত্রা সামান্য কমলেও তা দুর্ভোগ পরিস্থিতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। স্বস্তি ফেরেনি জনজীবনে।
শনিবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, আপাতত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি থাকবে। পাশাপাশি আগামীকাল (রোববার) নাগাদ চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলও বৃষ্টির আওতায় আসতে পারে।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
‘আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রা মোটামুটি এখন যেমন আছে এর কাছাকাছি থাকতে পারে, খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’ বলেন ওমর ফারুক।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ