১ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে বইমেলা শুরু হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই বইমেলা আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অমর একুশে উপলক্ষ্যে অনলাইন গ্রন্থমেলা (boionlinebd.com) উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল, দেশের ১১ কোটিরও বেশি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে দেশের বহু মানুষের কাছে অনলাইনে পৌঁছানো সম্ভব। অনলাইনে যখন বইমেলা হবে, সেখানে বইয়ের পরিচিতি তুলে ধরবে, বইয়ের লেখকদের নিয়ে এসে তাদের বক্তব্য প্রচার করবে, এতে যে কেউ যে কোনো প্রান্ত থেকে বসেই এতে যুক্ত হতে পারবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মহামারির মধ্যে জীবন অনেক জায়গায় থমকে গেলেও আমাদের দেশে থমকে যায়নি। শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে দেশ কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে গেছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে ২০টি দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম, আমাদের অবস্থান তৃতীয়।
তিনি বলেন, এখন অনলাইনে বই পড়া যায়। বিমানে বসেও অনলাইনে বই পড়তে পারেন, বইকে বহন করতে হবে সে রকম বাধ্যবাধকতা এখন সবক্ষেত্রে নেই।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাসটা আগের মতো আর নেই। আমি মনে করি, বই পড়ার অভ্যাসটা কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আবারও গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই বইমেলা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
boionlinebd.com এর সত্ত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ বইমেলা স্থগিত। কলকাতা বইমেলা স্থগিত করা হয়েছে। একুশের বইমেলাও ঠিক সময় হচ্ছে না। আমরা চিন্তা করলাম যদি অনলাইনে একুশে বইমেলাকে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস ধরে রাখতে পারি সেজন্য এই মেলার আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন রাত ১১টায় আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের সঙ্গে যুক্ত হবো বই নিয়ে আলোচনায়। অনলাইনে নতুন যে বই বের হচ্ছে সেসবের খবর প্রচার করা হবে। চেষ্টা করব মেলা চলাকালীন ২৮ দিন অন্তত কয়েকজন লেখকের কথা, তাদের বই নিয়ে কথা প্রচার করার জন্য। করোনা মহামারিতে অনলাইনে বেচাকেনা অনেক বেড়েছে এবং অনলাইন অনেক জনপ্রিয়।
রবিন আহসান আরও বলেন, ইউরোপে করোনার সময় বই বিক্রি বেড়েছে, আমাদের এখানে বই সমসময় কম বিক্রি হয়, করোনার সময় আরও কম বিক্রি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা একুশের বইমেলা, একুশের গানসহ একটি ভিডিও বানিয়েছি। দেশের বাইরেও যে বাঙালি লেখকরা আছেন, একুশে বইমেলা উপলক্ষে যারা দেশে আসেন, তাদের সঙ্গে আমরা ফেসবুকে কানেকটেড হয়ে বই নিয়ে আলোচনা করব। অনলাইনে একুশের বইমেলাকে ২৮ দিন পর্যন্ত ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
নদী বন্দর / এমকে