খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের যে পুষ্টিগুণ থাকে অতিরিক্ত ছাঁটাই ও পলিশ করার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকে না। তাই চাল ছাঁটাইয়ের সময় রাইস মিলে পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে। আগামী আমন মৌসুম থেকেই এই আইন কার্যকর করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে বোরো সংগ্রহ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষ্যে নওগাঁ সার্কিট হাউসে জেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও খাদ্য
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত চাল ছাঁটাই ও পলিশের কারণে ১৬ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়ে যায়। এই আইন কার্যকর হলে সেখান থেকে আমরা রক্ষা পাব। এতে করে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় ভোক্তারা কম দামে চাল ক্রয় করতে পারবেন। পলিশ বিহীন চাল ভোক্তাদের আকৃষ্ট করবে।
বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখার বিষয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উৎপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটের চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবে না।
চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্যগুদামে ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিকদের কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সকল কারণে ধান সংগ্রহ সফল হয় না সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় এ বছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জেলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদারসহ খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
নদী বন্দর/এসএকে