1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ঢাকা:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ মে, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শনিবার (১১ মে) সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ১০ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কি ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

দুর্ঘটনা রোধের কারণ বের করা দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি।

চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

এসময় নিরাপদ সড়ক চাইয়ের সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা সেমিনারের মাধ্যমে কোনো রিকমেন্ডেশন দিলে আমরা সেগুলো বিবেচনায় নেবো। প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি নির্দেশনার পর তিনি আরও ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে যাবে বলে আশা করছি।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

সমাবেশে নিসচার চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com