মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাতে তাদের কিছুই হয়নি, তাদের অপকর্ম থামেনি। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞায় অনেকে খুশি হয়েছে। কিন্তু এটা আরেকটা বিভ্রান্তিকর।
তিনি বলেন, আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। উৎখাত করবো কেন? ভোটের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবো, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা আয়োজন করে জাগপার একাংশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ পরিবারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন। এখানে কেস দেখানো হয়েছে, গণতন্ত্র বিনষ্ট ও দুর্নীতির দায়। সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ সব প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে। সংবাদিকদের লেখার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। গণতন্ত্রের আলখেল্লা পরে নির্বাচন নাটক দেখাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে, সেই ভয়ে তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগণের সমর্থন নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ক্ষমতায় যেতে চাই না। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন? কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে সেই ভয়ে।
তরুণ সমাজ কোথায়? দেশের এ অবস্থা তাদের কি আলোড়িত করে না? এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্য কোনো পথ চিনি না, আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে।
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএকে