বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তার গুলশানের বাসায় গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
চেয়ারপারসনের বাসায় অবস্থানকালে দেশের রাজনীতির সার্বিক বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অবহিত করেন ফখরুল। এ সময় তার শারীরিক অবস্থারও খোঁজ-খবর নেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এসব তথ্য জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরদিন ২ মে রাতে বাসায় ফেরেন তিনি। এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে গত বছরের ২৬ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টিপস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করেন চিকিৎসকরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাত বছরের সাজা হয়।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত ২১ মার্চ শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে অষ্টমবারের মতো মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।
‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
নদী বন্দর/এসএইচ