বাংলাদেশে নিযুক্ত তিন দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আলাদাভাবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বঙ্গভবনে ফিনল্যান্ডের কিমো লাহদেভির্তা, গুয়াতেমালার ওমর কাস্তানেদা সোলারেস এবং আয়ারল্যান্ডের কেভিন কেলি তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরে তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপতি বলেছেন যে, বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং দুদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতদের দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি পারস্পরিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ প্রতিনিধি দলের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিলেও বর্তমানে এটি একটি জটিল আর্থ-সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের সম্মানজনকভাবে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে বন্ধুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে দূতরা নিজ নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তাদের আগ্রহের কথা জানান। তারা সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘রেমেল’-এর ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন। রেমেলসহ বাংলাদেশের নানা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকার এবং জনগণের সাফল্যের ও প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূতরা।
এ সময় তারা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
নদী বন্দর/এসএস