লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট স্রোতে নদীর তীররক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৭ মে) রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার বড়খেরী এলাকায় মেঘনার তীররক্ষা বাঁধে এ ধস নামে।
এছাড়া বাঁধের ৯টি অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে ওই বাঁধটি মেরামতে কাজ করেছে বড়খেরীর নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বড়খেরী এলাকায় নদী তীররক্ষা বাঁধের ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ৯টি স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাঁধটি রক্ষায় নৌপুলিশ জিওব্যাগ ও ব্লক বসিয়ে মেরামতের চেষ্টা করেছেন। বাঁধটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধটির বড় ধরণের ক্ষতিহলে রামগতি বাজার ঝুঁকিতে পড়বে।
বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সোমবার মেঘনা নদীতে প্রবল ঢেউ ছিল। এমন ঢেউ সচরাচর দেখা যায়নি। তীব্র জোয়ার ও স্রোতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব স্থানে ব্লক ও জিওব্যাগ দিয়ে মেরামতের কাজ করছি।
এছাড়া প্রথম থেকে মাইকিং করে উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। যারা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মাঝে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হয়েছে।
পাউবো কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে জেলার ৩৩ দশমিক ২৬ কিলোমিটার নদী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পাশ হয়। এর ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার ৯০ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়নে একই বছরের আগস্টে ৯৯টি প্যাকেজ করে টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
এর আওতায় এ পর্যন্ত ৪৩টি ভাগে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কমলনগরে ৮ ও রামগতিতে সাড়ে ৫ কিলোমিটার। কমলনগরে ২৬ এবং রামগতিতে ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে।
নদী বন্দর/এসএইচ