মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে ওয়াকওয়ে। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ দৃষ্টিনন্দন এই ওয়াকওয়ে প্রতিদিন ভোর হলেই স্বাস্থ্য সচেতনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। আর মুক্ত বাতাস নিতে ঘুরতে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরাও। তবে ঘুরতে এসে মাঝে মাঝে ইভটিজিং ও ছিনতাইয়ের মুখোমুখি হতে হয় অনেককেই। দর্শনার্থীদের হাঁটাচলায় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়, এ জন্য নজরদারি বাড়ানোর কথা জানায় প্রশাসন।
সূর্য তখনো কুয়াশা ভেদ করে আলো ছড়ায়নি। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আসতে থাকেন মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে দলবদ্ধভাবে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তরা শরীর চর্চা করেন কয়েক ঘণ্টা। তবে নদীভাঙনে ওয়াকওয়ের বিভিন্ন স্থান খসে পড়ায় হাঁটাচলায় সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
বিকেলের পর রাত ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ওয়াকওয়েটি নদের পাশে নির্জন স্থানে হওয়ায় এখানে প্রায়ই ইভটিজিং ও ছিনতাইয়ের মুখোমুখি হতে হয় অনেককেই। সামাজিক নিরাপত্তার কারণে মামলা বা অভিযোগ দিতে চান না ভুক্তভোগীরা। তবে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি দর্শনার্থীদের।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান জানান, এমন পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে শহর রক্ষা কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যা সমাধানে একত্রে কাজ করার কথা জানান জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।
৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে বিআইডব্লিউটিএর অর্থায়নে আড়িয়াল খাঁ নদের মাদারীপুর শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট থেকে কাজীরটেক ফেরিঘাট এলাকা পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়।
নদী বন্দর / এমকে