আগামী রোববার (৯ জুন) চার দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মো. মামুনুল হক স্বাক্ষরিত সফরসূচি থেকে জানা গেছে, ৯ জুন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে পাবনায় পৌঁছাবেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে গার্ড অব অনার শেষে বিশ্রাম নেবেন এবং রাতযাপন করবেন।
পরদিন ১০ জুন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনার সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ১১ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। রাষ্ট্রপতি ১২ জুন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতোই জেলাজুড়ে চলছে আনন্দ-উৎসব। রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে পাবনা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত বছর প্রথম পাবনায় সফরে এলে তাকে ১৬ মে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে স্মরণকালের বৃহত্তম নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতি আরও দুবার নিজ জেলা সফরে আসেন। শেষবার তিনি বহুল কাঙ্ক্ষিত পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পাবনায়। তিনি স্নাতক এবং এলএলবি পড়েছেন পাবনায়। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেন। পাবনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। রেড ক্রিসেন্টের জেলা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাবনায় সাংবাদিকতা করেন।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পাবনা প্রেস ক্লাবের তিনি ২২তম সদস্য। ছাত্র রাজনীতিসহ নানা সমাজসেবা কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে পাবনাবাসীর আবেগের শেষ নেই।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বস্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে ঘিরে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। তার চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনা সফর যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
নদী বন্দর/এবি