ভারতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন নদী পাড়ে বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ক খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরে বাদামক্ষেত, বিছন ধান, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা ছকমল হোসেন বলেন, শুনতাছি তিস্তার পানি বাড়বে। পানি বাড়লে আমাদের জায়গা-জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
দোয়ানী গ্রামের কৃষক আনারুল হক বলেন, ভারতে বন্যা হয়েছে। এ পানি যদি আমাদের দেশের দিকে ছাড়ে তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না। বর্ষাকালে আমাদের পানি দিচ্ছে এ পানি দিয়ে আমরা কী করব?
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। সেই বন্যার পানি তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি