জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানকে। তাকে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পত্রপত্রিকায় যেভাবে খবরটি এসেছে, সেটি সত্যি অনভিপ্রেত এবং এটি যদি সত্য হয় তাহলে দুঃখজনক। আমি ইতোমধ্যে এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি, তাকে এনবিআরের সদস্যপদ থেকে ইতোমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, তাকে (মতিউর) সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে সরানোর জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, তদন্ত হবে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উত্থাপন হয়েছে, সেগুলো সত্য কিনা তা তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে। তারপর নিশ্চই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দুর্নীতির মাধ্যমে এভাবে সম্পদ অর্জন করা কখনও সমীচীন নয়। আমাদের সরকার সবসময় দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স এবং সে কারণে এ সরকারের আমলে নানা দুর্নীতির ঘটনাগুলো উঠে আসছে।
এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউর রহমানের ছেলে সিফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।
এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সিফাতকে একপর্যায়ে নিজের ছেলের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতিও জানান, সেইসঙ্গে মতিউর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ট্রলের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলার হুমকি দেন।
নদী বন্দর/এসএইচ