গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে জামালপুরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ছয় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া ২১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পানিবন্দি এলাকার মধ্যে রয়েছে- ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিনাডুলী, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, পলবান্দা; দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া, ডাংধরা, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, পৌরসভার, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, মাহমুদপুর, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ও জোড়খালী ইউনিয়ন, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের ইউনিয়নসহ ৩৪ ইউনিয়ন।
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বন্যার পানি উঠায় ইসলামপুর উপজেলায় ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৫টি, মাদারগঞ্জে ৭টি এবং বকশীগঞ্জে একটিসহ মোট ৬৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. মোজাম্মেল হাসান বলেন, বন্যার পানির কারণে বর্তমানে ৬৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর যেসব বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে পানি ঢুকেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন পরীক্ষাও বন্ধ আছে।
জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তারেক মো. রওনাক আখতার বলেন, শুধুমাত্র সদর উপজেলা ছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে আবারও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারবে।
এদিকে শনিবার (৬ জুলাই) রাতে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, যমুনা নদীর পানি ধীরে ধীর কমতে শুরু করেছে। তবে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএইচ