দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক স্কুলছাত্রীকে লিচুবাগানে আটকে রাতভর গণধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন,উপজেলার বাউপুকুর মৃত লাল মিয়ার ছেলে ছদ্মবেশী প্রেমিক লাবু মিয়া (২৮), একই গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি আশরাফুল ইসলাম (৩৫),ও
পৌর এলাকার বাউপুকুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রি ওমর ফারুক (২১)। মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত চুরকা হাসদার ছেলে রাজুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের দুজনের মধ্যে মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি জেনে কৌশলে মেয়ের ফোন নম্বরটি সংগ্রহ করে লাবু নামের এক যুবক। পরে তিনি রাজু পরিচয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে থাকে।
একপর্যায়ে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৩ টার দিকে স্কুলছাত্রীর বাড়ির পাশে আব্দুর রহমানের লিচুবাগানে তাকে দেখা করতে বলে। বাগানে গিয়ে সে প্রেমিক রাজুর পরিবর্তে অন্য এক যুবককে দেখে চিৎকার করে এবং দৌড়ে বাড়িতে পালানোর চেষ্টা করলে লাবুর সঙ্গে বাগানে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া দুই সহযোগী ওমর ফারুক এবং আশরাফুল (১৭) আটকে মুখ চেপে ধরে। পরে লিচুর বাগানেই পালাক্রমে ওই তিনজন মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। মেয়েটির মা জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠে ঘরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের লিচুবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে মেয়ের মুখে পুরো ঘটনা শুনে সে মেয়েকে নিয়ে থানায় যায় এবং মামলা দায়ের করে। ঘোড়াঘাট থানার (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, গত ৩১ জানুয়ারি রাতে ভিকটিমকে নিয়ে তার মা থানায় এসে তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিন যুবককে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরপূর্বক সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভিকটিমকের ডিএনএ টেস্ট করানোর জন্য দিনাজপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে