1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সাভারে বংশী নদী পাড়ের ৮৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ঢাকা:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ১৯ বার পঠিত

সাভারের বংশী নদী পাড়ের ৮৫০ অবৈধ স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

ঢাকা জেলার ডিসি, সাভারের ইউএনওকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এর আগে নদী কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দিয়ে জানানো হয়, বংশী নদীর জায়গায় ৮৫০টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বাকির হোসেন। নদী কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার।

এর আগে গত বছরের ২৩ জুন সাভারের বংশী নদী পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবার দখল হয়ে যাওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ইউএনওকে তলব করেন হাইকোর্ট।

‘সাভারের বংশী নদী : উৎসবের পর দখলের উৎসব’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা সাভারের বংশী নদীর জায়গা দখলের উৎসব শুরু হয়েছে।

উচ্ছেদ করা টিনের স্থাপনার জায়গায় নজরদারির অভাবে এবার নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তা-ও দিনের বেলায়। প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করতে ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নামে দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এই চাঁদা-বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই দখল চলছে সাভারের নামা বাজার এলাকায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, উচ্ছেদের পর কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বংশী নদীর তীরে সাভার নামা বাজার অংশে ২০২২ সালের ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। চার দিনের এই অভিযানে ২৮৬ জন দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানে নদীর ৪ একর জায়গা ও ৪০ শতাংশ খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদের তালিকার বাইরে আরও শতাধিক দখলদার রয়েছেন। যারা এখনো উচ্ছেদের আওতায় আসেননি। অথচ ২০১৫ সালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বংশী নদীর তীরের সাভার নামা বাজার অংশে দখলদার রয়েছেন মাত্র ৬২ জন। প্রভাবশালীদের চাপ এবং আর্থিক সুবিধার কারণে অন্য দখলদারদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে। 

এদিকে জনবল নিয়ে অর্থ ব্যয় করে যে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল, নজরদারি না থাকায় চার মাস না যেতেই সে জায়গা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উচ্ছেদ তালিকায় দখলদার হিসেবে একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম রয়েছে।

নদী বন্দর/এসএকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com