মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন জাতিগঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ভূমিকা’- শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের নিজ অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি শিশুকে সৎ, আদর্শ, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতিগঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, বয়স্কদের স্বাক্ষর জ্ঞান এবং শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে দেশে প্রাথমিক শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, নিরক্ষরতা দূরীভূত হচ্ছে এবং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের তরুণ ও যুবকদের মাঝে আদর্শ, নৈতিকতা, সহনশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধের উন্মেষ ঘটছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটিতে ৮০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় নারীর ক্ষমতায়নেও এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এ সকল মহিলারা পরিবারের পাশাপাশি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং সমাজে নিজেকেও সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলছে।
মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় আবেশে মন্দিরের আঙ্গিনার মতো পবিত্র স্থানে বসে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করার ফলে শিক্ষার্থীদের মনে উন্নত চিন্তার উন্মেষ ঘটছে। দেশের হিন্দু অধ্যুষিত, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও সচেতনতা সৃষ্টিতেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে ।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার দাস, উপপ্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) সৌরেন্দ্র নাথ সাহা, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নদী বন্দর / পিকে