শৈত্যপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশা অব্যাহত রয়েছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল। এছাড়া বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ। লক্ষ্মীপুরে কোল্ড ডায়ারিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩শ’ শিশু।
লক্ষ্মীপুরে শৈতপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বাড়ছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, রোটা ভাইরাস ও ডায়ারিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। হাসপাতালে এরই মধ্যে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩শ’ শিশু। তবে ঠিকমতো ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ আছে অভিভাবকদের।
অভিভাবকরা জানান, স্যালাইন দেওয়ার কথা ছিল, হাফ স্যালাইন দিয়ে এখন আর কিছুই দিচ্ছে না। রোগীর সংখ্যা বেশি, হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ।
এদিকে হাসপাতালে দ্বি-গুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ডায়ারিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে একেক সিটে দুইজন করে রোগী রেখে অথবা ফ্লোরে রোগী রেখে আমাদেরকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার।
পঞ্চগড়ে দিন দিন বেড়েই চলছে শীতের প্রকোপ। মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গাইবান্ধায় কয়েকদিন ধরে চলছে ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠাণ্ডায় চড়া মজুরিতে শ্রমিক নিয়ে জমিতে চারা রোপণ করছেন চাষীরা।
চাষীরা জানান, ঠাণ্ডায় হাত-পায় কোঁকড়া লেগে যায়। তারপরও কাজ না করলে চলছে না।
নাটোরে ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতে জুবুথুবু সব বয়সী মানুষ। গাছিরা রস আহরণ করতে পারছেন না। আমের মুকুলসহ ফসলের ক্ষতির আশংকায় কৃষক।
গাছিরা জানান, খুব কুয়াশা এর মধ্যে রস পাড়া খুবই ঝামেলা।
কুড়িগ্রামে তীব্র শৈতপ্রবাহের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। তীব্র ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় পিছিয়ে যাচ্ছে বোরো আবাদ।
স্থানীয়রা জানান, গরম কাপড়চোপড় পড়ার পরেও ঠাণ্ডায় শরীর বাঁকা হয়ে আসছে। ধান যে রোপণ করবো তাও সম্ভব হচ্ছে না।
নদী বন্দর / এমকে