গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বেইত লাহিয়াতে দুজন, শাতি শরণার্থী শিবিরে চারজন এবং গাজা সিটিতে আরও পাঁচজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরা।
এর আগে খান ইউনিসে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বেইত হানুনে অবস্থিত আরও একটি স্কুলে হামলার ঘটনায় আরও কমপক্ষে ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হয়েছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর এই প্রস্তাব পাসের পর এক বক্তব্যে বলেন, গাজা এখন মানবতার জন্য এক যন্ত্রণার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ও সেখানে এখন মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
স্লোভেনিয়ার জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রতিনিধি বলেন, গাজা আর নেই, ধ্বংস হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি মানবতার জন্য একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর বলেন, ফিলিস্তিনের দুর্দশা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।
নদী বন্দর/এসএইচ