জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রাজধানীর মালিবাগে মঙ্গলবার পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আহতদের স্বচ্ছলতায় ফেরাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, সবাইকে তো সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব না।
‘আমাদের প্রস্তাবে যাকে যেখানে সম্ভব, সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’
অর্থ পাচারকে আগের সরকারের সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি মানি লন্ডারিং করেছে।’
মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল মানি লন্ডারিং। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করার কথা আমি বলেছি।’
যানজট সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যানজট দূর করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব না। আমরা তারপরও এক হাজার শিক্ষার্থী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
‘তাদের আমরা মিনিমাম একটা পারিশ্রমিক দেব। শুরুতে ইচ্ছে ছিল ৫০০ জন নিয়ে কাজ করব, তবে সে পরিমাণ লোকবল পাওয়া যায়নি।’
অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনের পাঁচ মাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত কী ধরনের উন্নতি করেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা মিলিয়ে দেখেন, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে কি না। পুলিশ তাদের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এখন একটু সময় নিয়ে কাজ করছে।
‘রাস্তাঘাট চিনতে সময় লাগছে তাদের। গাড়ি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে অনেকে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৫-৬ আগস্ট কোনো সরকারই ছিল না। তখন অনেকে পালিয়ে গেছেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গেছেন অনেকে। তখন তো আমরা ছিলাম না।
‘তবে আমরা সরকারে আসার পর কেউ পালিয়ে গেছে কি না, সেটা বলেন। এরপরও যদি কেউ গিয়ে থাকেন, আমরা বিষয়টি দেখব।’
নদী বন্দর/এসএইচ