বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী চাওড়া নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দুর্ভোগে পড়েছে দুই পারের কয়েক হাজার বাসিন্দারা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাতে আমতলীর চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রা আউয়াল নগর নামক এলাকায় নির্মিত আয়রণ সেতু ভেঙে পড়ার এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দুজন যাত্রী নিয়ে আউয়াল নগর এলাকার সেতুটি পার হওয়ার সময় হঠাৎ সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে। এ সময় যাত্রীসহ অটোরিকশাটিও নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা যাত্রীসহ অটোরিকশাটি উদ্ধার করেন।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের আউয়াল নগর এলাকায় ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আয়রণ সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। পরে সেতুটির নির্মাণকাজ পায় হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা।
তবে সেতু নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। গত সোমবার রাতে ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হয়ে একটি অটোরিকশা পাড় হতে গিয়ে সেতু নদীতে ভেঙে পড়ে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, সেতু ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে ওই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আগে থেকেই গাড়ি পারাপরে সকর্তীকরণ নোটিশসহ গাড়ি চলাচল বন্ধে পিলার গেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়ার চাওড়া নামক এলাকার একই নদীর ওপরে থাকা আরেকটি সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ওই মাইক্রোবাসে থাকা কনেপক্ষের ৯ জন যাত্রী পানিতে ডুবে নিহত হন।
নদী বন্দর/এসএইচ