1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
দশ বছরে ভরাট হয়েছে ঢাকার ৩৬ শতাংশ জলাশয় - Nadibandar.com
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আইএমএফের ঋণের কিস্তিছাড় ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশা গভর্নরের বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে শুধু ‘ভাসাভাসা নীতিগত’ আলোচনাই হয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা ইসি নয়, সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা এনসিপির আ.লীগের বিচারসহ ৮ ইস্যুতে ঐকমত্য এনসিপি ও খেলাফত মজলিস রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়নের কাছাকাছি ‘চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ’
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৬৫ বার পঠিত

গত দশ বছরে ভরাট হয়েছে ঢাকার ৩৬ শতাংশ জলাশয়। রাজধানীর আশপাশে সাভার, কেরাণীগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও গাজীপুরেও অস্তিত্ব হারিয়েছে এক লাখ একরের বেশি জলাশয়। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের পর বছর এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী বিভিন্ন ব্যক্তি ও আবাসন কোম্পানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপকর্মকারীদের এখনই ঠেকানো না গেলে, পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে সবাইকে।

নদী, খাল, জলাশয় ভরাট, দখল ও স্থাপনা তৈরি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা যে আইন প্রণেতাদের তাদেরও কেউ কেউ এ কাজে বেশ এগিয়ে। খোদ জাতীয় নদী-রক্ষা কমিশনের হিসাবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদে ১৩ একরসহ মোট ৫৪ একর নদী ও জলাশয় দখল করেছেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। এই তালিকায় আছেন ঢাকার আরেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমও।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে নদী ও জলাশয় দখলদার ৫৭ হাজার তিনশ ৯০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায়ই আট হাজার ৮৯০ জন।

বাংলাদেশ প্ল্যানার্স ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, গত ১০ বছরে ঢাকা ও এর চারপাশের জলাশয় ভরাট হয়েছে ১ লাখ ৯৩৭ একর। ঢাকা মহানগরীতেই ভরাট হয়েছে ৯ হাজার ৫৫৬ একর। কেরাণীগঞ্জে ২৬ হাজার ৪৭৪, রূপগঞ্জে ১৬ হাজার ৫৪২, গাজীপুরে ১৩ হাজার ৮৪২ একর এবং সাভারে ২০ হাজার ৬৩৮ একর জলাশয় অস্তিত্ব হারিয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার আশেপাশের জলাশয়গুলো অবৈধভাবে দখল করেছে আবাসন প্রকল্পগুলো। এখানে প্রশাসন এক ধরনের নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাশয় রক্ষায় আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন না থাকায় দখল-দূষণ বাড়ছে। এসবের দায় নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

জলবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. এনামুল হক বলেন, চোখের সামনে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সকল আইন আছে কিন্তু আইনগুলোর প্রয়োগ নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভরাট পক্রিয়াটি না থামিয়ে যদি ভরাটকে আইনসিদ্ধ করেন, তাহলে তো আপনি ভরাটকে কখনও রোধ করতে পারবেন না। ২০১০ সালে ড্যাব যখন অনুমতি হলো, তখন ভূমিদস্যু যারা আছে তাদের প্রতিবাদের মুখে সরকার একটি কমিটি করে দিলো। যারা জলাশয় ভরেছে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভরাটকৃত জলাশয়কে হাউজিং করার অনুমতি দিচ্ছে।

জলাশয় রক্ষায় সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন দাবি করে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কেউ আর নতুন করে স্থাপনা করতে পারবে না। নগর এলাকায় কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এলাকা জলাশয় দরকার হলেও ঢাকায় আছে ৪ শতাংশেরও কম।

নদী বন্দর / এমকে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com