1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে আফগানিস্তানের ইতিহাস, বিদায় ইংল্যান্ডের - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মধ্যরাতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিবৃতি: আন্দোলন ব্যর্থ না হতে দেওয়ার অঙ্গীকার নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বেসরকারি শিক্ষার্থীদের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জিতে আফগানিস্তানের ইতিহাস, বিদায় ইংল্যান্ডের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদকাল হবে ৩ বছর চার পদ রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটির সব সেল বিলুপ্ত ঘোষণা চলতি বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের পরিকল্পনা আছে: প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিমের ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড সংগ্রহ আফগানিস্তানের ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, আশা ফখরুলের রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৪ জনকে আজীবন, ৪২ জনকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার নতুন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
নদীবন্দর,ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

ইংল্যান্ড-আফগানিস্তানের সামনে ছিল একেবারে সহজ সমীকরণ। হারলেই বাদ, জিতলে টিকে থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের আশা। সেই লক্ষ্য পূরণে টুর্নামেন্টের অন্যতম জমজমাট লড়াই উপহার দিলো ইংলিশ-আফগানরা। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে অবশ্য শেষ হাসি হেসেছে আফগানিস্তান। ৮ রানের জয়ে তারা ইংল্যান্ডকে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিয়েছে।

শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের দরকার ছিল ২ উইকেট, আর ইংলিশদের ১৮ রান। তাদের টেলএন্ডার ব্যাটাররা সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি। ইংল্যান্ডের একেবারে মুখের কাছ থেকে আহার কেড়ে নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা। আফগানিস্তানের ৩২৫ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৩১৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে।

আইসিসি ইভেন্ট থেকে ইংলিশদের বিদায় করার রেকর্ড আগেও ছিল হাশমতউল্লাহ-রশিদদের। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেও বিদায় করেছে আফগানিস্তান। প্রথমবার এই প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমেই তারা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় তুলে সেমিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে।

এর আগে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিল সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড। এই ওপেনার ১৩ বলে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। তাতে ১৯ রানেই ভাঙে ইংলিশদের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে ব্যর্থ জেমি স্মিথ। ১৩ বল খেলে ২ চারে ৯ রান করেছেন তিনি। ৩০ রানের মধ্যেই এই দুই ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ইংল্যান্ড।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন বেন ডাকেট ও জো রুট। ৩৮ রান করে ডাকেট ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। হ্যারি ব্রুক উইকেটে এসে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ২১ বলে ২৫ রান করে। তাতে ১৩৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

শেষ ১৪ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১২ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। অফিসিয়াল ব্রডকাস্টের স্কোরবোর্ডে তখন আফগানদের ৫৯ এবং ইংলিশদের ৪১ শতাংশ জয়ের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল। এর খানিক বাদেই ইংলিশদের বিপদ বাড়িয়ে দিয়ে ভুল করে বসেন অধিনায়ক জস বাটলার। আজমতউল্লাহ ওমরজাই তাকে ফাঁদে ফেলতে একের পর এক শর্ট বলে বাউন্স করছিলেন, তেমনই এক বলে বিলাসী শট খেলতে গিয়ে মিড-অনে ক্যাচ দেন বাটলার (৩৮)।

এরপর ক্রিজে এসে ফর্ম নিয়ে ধুঁকতে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনও (১০) ফেরেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। প্রশ্ন ছিল ৩৮ ওভার পেরিয়ে গেলেও কেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ গুলবাদিন নাইবকে বোলিংয়ে আনছেন না। তাকে আনা হয় ৩৯তম ওভারে, আর তাতেই ফিফথ স্টাম্পেরও বাইরে ফেলা বলে সফল এই পেসার। কিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লিভিংস্টোন। ইংলিশদের জয় তখন আরও কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে আশার বাতি জো রুট তখনও ক্রিজে আলো ফেরি করছিলেন। ৬ বছর পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেও অবশ্য তিনি ইংলিশদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ব্যক্তিগত ১২০ রানে ফেরেন। তার দুর্দান্ত লড়াইও ব্যর্থ হয় শেষমেষ।

জেমি ওভারটনের ৩২ এবং জোফরা আর্চারের ১৪ রানের ক্যামিও কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। তবে আফগানিস্তানের এমন রূপকথার নায়ক যে ওমরজাই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার প্রথমবার ৫ উইকেট শিকারের বদৌলতে ইংল্যান্ড ৩১৭ রানে গুটিয়ে যায় ১ বল হাতে রেখে। এর আগে ব্যাটিংয়েও ওমরজাই ৪১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন।

এর আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। নতুন বলে দুই প্রান্ত থেকেই রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন জোফরা আর্চার ও মার্ক উড। তাদের পেসের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি আফগানদের উদ্বোঢনী জুটি। ৬ রান করা আর্চার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১১ রানের জুটি।

তিনে নেমে ব্যর্থ সাদিকুল্লাহ অটল। ৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর অভিজ্ঞ রহমত শাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪ রান করে রহমত ফিরলে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দল। সেখান থেকে আফগানদের টেনে তোলেন ইব্রাহিম জাদরান ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি।

হাশমতউল্লাহ ৬৭ বলে ৪০ রান করেছেন। তবে তার আগেই চতুর্থ উইকেটে ইব্রাহিমের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ। ছয়ে নেমে ম্যাচের গিয়ার পরিবর্তন করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
আজমতউল্লাহর বিদায় রান রেটে প্রভাব ফেলেনি। কারণ উইকেটে এসেই শট খেলতে থাকেন মোহাম্মদ নবি। আরেক প্রান্তে তখন সেট ব্যাটার ইব্রাহিম। দুজনে মিলে ইংলিশদের ওপর তাণ্ডব চালান। নবি ২৪ বলে ৪০ রান করে ফিরলেও বড় সেঞ্চুরি করেছেন ইব্রাহিম।

৬৫ বলে প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেছিলেন ইব্রাহিম। পরের ৫০ রান করতে খেলেছেন ৪১ বল। অর্থাৎ ১০৬ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। সেঞ্চুরির পর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। পরের ফিফটি করেন মাত্র ২৮ বলে। সবমিলিয়ে ১৩৪ বলে স্পর্শ করেন ১৫০ রানের মাইলফলক।

এরপর ছাড়িয়ে যান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বেন ডাকেটের করা সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের ইনিংসকেও। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করেছেন এই ওপেনার। তাতে তিনশোর্ধ্ব রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।

নদীবন্দর/এএস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com