অনিয়ম ও দূর্নীতি জেঁকে বসেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো)। দেশের বিভিন্ন জেলায় দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে এই প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।
জানা যায়, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সেচনালা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এখানে ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। নীলফামারী সদর থেকে সৈয়দপুর উপজেলা পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সেচখালের মাটির কাজ ও সিসি লাইনিং এর কাজে এই পরিমান টাকা বরাদ্দ রয়েছে। চলমান কাজটি সম্পন্ন করা নিয়েই রয়েছে ব্যাপক গড়িমসি।
বিগত ২০২২ সালের এপ্রিলে এই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হয় এবং কাজটি শুরু করা হয়। ওই বছর ডিসেম্বরে কাজটি সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এই কাজের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। এরপরও কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে জানা গেছে। কাজটি সম্পন্ন করতে আরও ৬ মাসের বেশি সময় চাওয়া হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন নীলফামারী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান।
এদিকে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সেচনালা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর হতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কাজের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। এসময় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সাথে একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ সম্বলিত সেচনালা দুদক সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনপ্রাপ্ত তথ্যাবলী, নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মতামত ও সংগৃহিত অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনান্তে দুদক কমিশন বরাবর এনফোর্সমেন্ট টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে নীলফামারী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, দুদক থেকে একটি টিম এসেছিল। তারা নিরপেক্ষ একজন প্রকৌশলীকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে তারা সেচখালের মাটির কাজে এবং সিসি লাইনিংয়ে অনিয়ম দেখতে পায়। তারা এ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র ও তথ্যাবলি সংগ্রহ করেছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে রংপুর যোজেন প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, দুদকের অভিযান সংক্রান্ত কোন খবর তিনি জানেন না। নির্বাহী প্রকৌশলী কিংবা তত্ত্বআবধায়ক প্রকৌশলী তাকে এ ব্যপারে কিছু জানায়নি। কেন বিষয়টি তার কাছে লুকানো হলো- তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
নদীবন্দর/এসএইচ