গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অর্ধশতাধিক অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে অংশ নেন সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।
ছিনতাই, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে যৌথ বাহিনী পরিচালিত অভিযানে টঙ্গীর মাজার বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও মাদক সেবনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অর্ধশতাধিক অপরাধীকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রাজধানীর উত্তরাসহ শিল্পাঞ্চল টঙ্গী অপরাধপ্রবণ এলাকা হয়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযানে অংশ নেয়া গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থার উন্নয়নকল্পে জেলা প্রশাসন গাজীপুর, গাজীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও উত্তরা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে বিজিবি, র্যাব ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ যোগ দেন। আপনারা জানেন মাজার বস্তি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছিনতাই রাহাজানিতে এসব এলাকার মানুষ জড়িত। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আজকে এ অভিযানটি পরিচালনা করি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমরা বেশ কিছু বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। সেই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট চিহ্নিত বেশ কিছু সন্ত্রাসী এবং মাদকসেবী মাদক ব্যবসায়ী এ সংশ্লিষ্ট লোকজনকে আটক করেছি। বেশ কিছু মাদকদ্রব্যসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছি। সেগুলো আমরা আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করব। সামনে রমজান মাস ঘিরে এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হতো বলে আমাদের ধারণা ছিল। সে কারণেই আজকের আমাদের এই অভিযান।
মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, এ অভিযানের প্রেক্ষিতে আমাদের বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকাগুলো গণনা চলছে, গণনা শেষ হলে আমরা বলতে পারব। আজকের এই অভিযানে আমরা আনুমানিক ৬০ জনের মতো মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী এবং যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত, চিহ্নিত, আমাদের তালিকাভুক্ত ছিল সেই সমস্ত লোকদের আটক করা হয়েছে। এখানে থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক আটক করেছি। গাঁজা, দেশীয় মদ, ইয়াবা থেকে শুরু করে করে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। জনজীবনে স্বস্তি না আসা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
নদীবন্দর/জেএস