দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর (হিলি) এলাকায় এবার রবি মৌসুমে সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রতিটি মাঠে শুরু হয়েছে সরিষা কাটা-মাড়াই। এই বছর আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এ উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক। আমন ধান কাটার পর এই অঞ্চলের কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে থাকে। সরিষা বিক্রি করে যে টাকা পায় ঐ টাকা দিয়ে আবার ইরি বোরো মৌসুমে ধান রোপন করে তারা। এবার সরিষা ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
জালালপুর গ্রামের কৃষক সোবহান জানান,আমি প্রতি বছর আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা চাষ করি। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। আমি সরিষা কাটাই-মাড়াই শেষ করেছি।ফলন ভালো পেয়েছি এবং বাজারে দামও ভালো পাচ্ছি।
খাট্টাউছনা গ্রামের কৃষক আবুল জানান,সরিষা চাষে খরচ কম লাভ বেশি। আর সরিষা চাষ করলে বোরো রোপণের সময় আলাদা ভাবে ঐ জমিতে আর সার দিতে হয়।সরিষা বিক্রি করে টাকাও পাওয়া যায় আবার তেলের চাহিদাও মেটাতে পারি।
কাদিপুর গ্রামের কৃষক সুমন জানান, বাড়তি ফসল হলেও এবার বাজারে এর দাম ভালো আছে। প্রতি বিঘায় সরিষার ফলন ৪ থেকে ৫ মণ পাওয়া যাছে। বাজারে প্রতি মণ সরিষা ১৬’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমরা খুব খুশি।এই টাকা দিয়ে বোরো রোপণ করতে পারবো আমরা।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা ড.মমতাজ বেগম বলেন, কৃষকরা এই ফসলটাকে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাষাবাদ করে থাকে। আমরা প্রতি বছর সরিষা চাষের জন্য কৃষকদের সরকারীভাবে প্রণোদনা দিয়ে থাকি এবারও দিয়েছে। এবার আমাদের এই উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৮শ ২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এর চাষ হয়েছে ৮শ ২৫ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে কৃষকরা সরিষা কাটা শুরু করেছে,ফলনও ভালো পাচ্ছে।আশা করছি বাজারে ভালো দামও পাবেন তারা।
নদী বন্দর / এমকে