ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালের এ ঘটনায় ওই উড়োজাহাজের ডানা দিয়ে যে যার মতো নামতে দেখা যায় যাত্রীদের। তবে এখন পর্যন্ত কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আগুন লাগার সঠিক কারণও জানা যায়নি।
সম্প্রতি একাধিক দুর্ঘটনার পর বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটলো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ বলছে, ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই ফ্লাইটে আগুন লাগার পর দ্রুত যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। দেখা যায় ঘন কালো ধোঁয়া। পরে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দ্রুত আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা উড়োজাহাজটি। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা বিমানের ডানার উপরে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন৷ সেখান থেকেই তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, মাঝ আকাশেই প্লেনটির ইঞ্জিনে বিভ্রাট দেখা দেয়। ওড়ার সময় মৃদু ঝাঁকুনি অনুভব করেন পাইলট। এর পরেই ডেনভার বিমানবন্দরে সেটি জরুরি অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরপরই উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ বা এফএএ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ১০০৬ তে আগুন লাগে। আর উড়োজাহাজটি হলো বোয়িং ৭৩৭-৮০০। এটি কলোরাডো স্প্রিং থেকে এখানে আসে।
এর আগে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হন।
তারও আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর জেজু এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৮১ আরোহীর ১৭৯ জনই নিহত হন। আর তাতে নাম জড়ায় মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের নাম।
কারণ যে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়, সেটি তাদের তৈরি ৭৩৭-৮০০ মডেলের আকাশযান। এ দুর্ঘটনার পর বোয়িং বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজগুলো নিয়েও।
সূত্র: এনবিসি
নদীবন্দর/এএস