ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) বিরুদ্ধে মেঘনা নদী ভরাট করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আগের অধিগ্রহণ করা জমি ভরাট করেই নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
পরিবেশবাদী সংগঠনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা প্রশাসন বলছে, ভরাট করা জায়গাটি নদীর হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে প্রকল্পের কাজ।
জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তর দিকে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের পুরনো সীমানাপ্রাচীর থেকে নদীর ভেতরের দিকে প্রায় ২৫০ ফুট প্রস্থ এবং প্রায় দুই হাজার ফুট দীর্ঘ এলাকাজুড়ে নতুন করে নদীবক্ষে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করে বালু ভরাট করার কাজ চলছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদী সংগঠন।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ্ বলেন, জায়গাটি ভরাট করা হলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে ভরাট করা জায়গাটি নদীর কিনা তা নির্ধারণে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ,এফ,এম সাজ্জাদুর রহমানের দাবি, নদীর নয় বরং আগের অধিগ্রহণকৃত জায়গাতেই দেয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট করা হচ্ছে।
নদী দখল করে নতুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ হলে মেঘনার বুকে জেগে ওঠা প্রাচীন চর সোনারামপুর ভাঙনের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।
নদী বন্দর / এমকে