ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ষড়যন্ত্রতত্ত্ব উৎপাদন ও বিতরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীদের মতো পারঙ্গম আর কেউ আছেন কিনা তা আমাদের জানা নেই। শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত ষড়যন্ত্র অভিলাষী সরকার। তারা যখন খুব বিচলিত হয়ে পড়ে তখন ষড়যন্ত্রতত্ত্বের কথা বলে অকথ্য, অশ্লীল, অসত্য ও অসভ্য প্রপাগান্ডা আওয়ামী লীগের একমাত্র হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। কারণ তারা সম্পূর্ণরূপে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে।
তিনি বলেন, তারা আর একটিতে বিশ্বরেকর্ড করেছে, সেটি হচ্ছে আদালতকে ব্যবহার করে নির্দোষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাজা দেয়া। এর শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ দেশের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী। সাজানো ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী একের পর এক বিএনপির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে ভরে রাখা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকার বিএনপিকে ধারাবাহিকভাবে ধ্বংস করার অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর এই মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুম ও ক্রসফায়ারে হত্যার যে রেকর্ড গড়েছে তা অন্যান্য দেশের নিষ্ঠুর স্বৈরশাসককেও বিচলিত করবে। রিমান্ডের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শারীরিকভাবে টর্চার করা আওয়ামী লীগের কালচারে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলায় সরকার দেশের মধ্যে যে বৃহত্তর কারাগার তৈরি করেছে সেই দেশটির এখন কোনো মানবিক মুখমণ্ডল নেই। বর্তমান মানবতার অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের সারাংশ মাত্র। দেশের মানুষ ভয়ভীতি-আতঙ্কের এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে।