মানহানির একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যে সাজা দেয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দলটির সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ-বিদেশে সরকারের অপশাসন, কুশাসন প্রচার তড়িঘড়ি করে আড়াল করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজানো মামলায় আজ সরকারের নির্দেশে নড়াইলের আদালত ফরমায়েশি করে যে রায় দিয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি বলেন, ‘সত্য উচ্চারণের কারণে মানহানি মামলায় এ ধরনের রায় নজিরবিহীন ঘটনা। এ ঘটনায় পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, আইন-আদালত সরকারের হাতের মুঠোয়। মূলত নানা অপকীর্তির কারণে বর্তমানে দেশে-বিদেশে এই সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট। এ কারণে সরকার বেপরোয়া ও উন্মাদ হয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতে একতরফা বিচারিক প্রক্রিয়া চালিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রায় দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতের রায় কুটিল মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। কণ্ঠরোধ করা হয়েছে গণমাধ্যমের। কেউ সত্য উচ্চারণ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার খড়্গ। এই মামলাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারের ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়ন শুধু গণমাধ্যমে নয়, গোটা জাতি এখন সেলফ সেন্সরশিপে ভুগছে। এর মধ্যে সরকারের কিছু অপকর্ম বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সেটির উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে বরং তারেক রহমানকে সামনে আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে মামলা ও আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছাতেই নির্দেশিত হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার এ নজিরবিহীন রায়ও বর্তমান সরকারপ্রধানের ইচ্ছারই প্রতিফলন। আমি এ রায় প্রত্যাখ্যান করে রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে রায় প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’