1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শিশুকে ‘রাতভর ধর্ষণ’, অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর,ময়মনসিংহ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৫ বার পঠিত

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ‘রাতভর ধর্ষণের’ অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

পুলিশ সোমবার আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপ জানিয়েছেন।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই মো. দুলালের বাড়িতে ভাংচুর করে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। দুলালকে ‘পালিয়ে যেতে সহায়তা করার’ অভিযোগ আব্দুল মজিদ নামের একজনকে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা।

সেই সঙ্গে মজিদের বাড়ি ও তার ভাই আতিকের দোকানে ভাংচুরও করা হয়েছে। পুলিশ পরে সেখানে গিয়ে মজিদকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, দুলাল ঈদের দিন বিকালে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে নিজের মেয়েকে দিয়ে পাশের বাড়ির ৯ বছর বয়সী মেয়েটিকে ডেকে নেয়। পরে নিজের মেয়েকেসহ ওই শিশুকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে ওই শিশুকে বাইরে নিয়ে গিয়ে ‘রাতভর ধর্ষণ’ করে।

পরে মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে একটি ভ্যানে করে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে দেন দুলাল। শিশুটি তার পরিবারকে জানায়, দুলাল তাকে রাতভর ‘ধর্ষণ’ করেছে।

এ সময় পরিবারের লোকজন দুলালকে আটক করতে গেলে স্থানীয় মজিদ তাকে ‘পালাতে সহযোগিতা’ করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। দুলালকে আর ধরা যায়নি।

উত্তেজিত গ্রামবাসী দুলালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তারা মজিদকে আটক পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মজিদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

ভিকটিমের বড় বোন জানান, দুলাল তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঈদের দিন বিকালে শিশুটিকে নিয়ে।

“পরে সারা রাত আমার বোনের কোনো সন্ধান পাইনি। আজ সকালে দুলাল আমার বোনকে নিয়ে আসে। তখন আমরা দেখি বোন খুবই অসুস্থ। পরে সে জানায় দুলাল তাকে ধর্ষণ করেছে। আমার ভাইয়েরা দুলালকে ধরতে গেলে আতিক আর মজিদ দুলালকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে মজিদকে ধরে নিয়ে যায়।”

পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, “মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মজিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুটিকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দুলাল পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।”

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com