1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন চালক, শোনেননি যাত্রীদের নিষেধ - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
নদীবন্দর,ফরিদপুর
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮ বার পঠিত

ফরিদপুরে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ সাতজন নিহতের ঘটনায় চালকের খামখেয়ালিপনাকে দুষছেন আহত যাত্রী ও পুলিশ প্রশাসন। দুর্ঘটনাকবলিত ফারাবী পরিবহনের বাসটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুর আসছিল।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, বাসটি নগরকান্দা থেকে সকাল ১০টার কিছুক্ষণ পরে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সাধারণত নগরকান্দা থেকে ফরিদপুর আসতে এসব বাসের এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে। তবে নগরকান্দা থেকে তালমা ১২ কিলোমিটার সড়ক তুলনামূলক চাপা। এজন্য এই সড়কে বেশ স্বাভাবিকভাবে চালিয়েই আসছিলেন চালক। তবে বেপোরোয়া হয়ে ওঠেন ওই আঞ্চলিক সড়ক ছেড়ে যখন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ওঠেন। নগরকান্দার তালমার মোড় থেকে বাসটি মহাসড়কে ওঠে। তখনই বাসটি গতি বাড়াতে থাকে।

সেখান থেকে মহিলারোড এলাকায় আসলে বাসের গতি বাড়িয়ে অন্তত ৮০ কিলোমিটার বেগে চালান চালক। এ সময় বাসের ভেতরের যাত্রীরা চালককে নিষেধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। বাসটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে এসে গতি আরও বাড়িয়ে সামনে একটি গাড়িকে দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।

এ দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ওই বাসের যাত্রী বাধন সরকার (২৭) বলেন, একটা লোকাল বাস যে এত গতিতে চলতে পারে তা জীবনে দেখিনি। শুধুমাত্র দ্রুতগতির কারণেই আমাদের আজ এই মৃত্যু, হাসপাতাল ও আহত দেখতে হলো।

তিনি বলেন, চালকের গতি দেখে আমরা বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলেও তিনি আমাদের কথা শোনেননি।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, বাসটি পেছনের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালকের অতিরিক্ত গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমার মনে হচ্ছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের উদ্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও পরবর্তীতে বিআরটিএর মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। পরে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com