‘সামরিক একনায়কতন্ত্র চাই না গণতন্ত্র চাই’ এমন স্লোগানে উত্তাল মিয়ানমার। দেশটিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়ার পরই (৭ ফেব্রুয়ারি) রোববার সকালে সবেচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ মানুষ।
আল-জাজিরা ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
অং সান সুচির মুক্তি দাবি জানিয়ে সামরিক সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তারা লাল রঙের বেলুন নিয়ে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর- এএলডির পক্ষে স্লোগান দেয়।
৩৭ বছর বয়সী আন্দোলনকারী মায়ো উইনের বক্তব্য, ‘সামরিক সরকারের পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই করে যাব।’
শনিবার থেকে মিয়ানমারের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ফুঁসছে জনতা, দিনে দিনে জোরালো হচ্ছে জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। হাতে ফুল নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের সহিংসতা লক্ষ্য করা যায়নি। আগে থেকেই সড়কে অবস্থান নিয়েছে সেনা ও পুলিশ। কিছু জায়গা থেকে মিছিল ঘুরিয়েও দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তাদের চড়াও হতে দেখা যায়নি।
সামরিক সরকার মিয়ানমারে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়াকে ‘জঘন্য ও বেপরোয়া’ সিদ্ধান্ত অ্যাখা দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
নদী বন্দর / এমকে