নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে আটক করে পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার রাতে চৌমুহনী পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানান।
আটক মো. কবির নামের যুবকের বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া ইউনিয়নে। তিনি নোয়াখালীতে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কবির নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ১২ বছর বয়সি মেয়েটি পাশের বাসায় তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করে। মঙ্গলবার ঘট্নার সময় মেয়েটির মা কর্মস্থলে ছিলেন; বাবাও বাসায় ছিলেন না। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে বাসায় একা পেয়ে কবির তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন বলে শিশুটির খালা জানান। তখন তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে ওই যুবককে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে।
পরে পুলিশ পাহারায় রাতেই তাকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজীব আহমেদে চৌধুরী বলেন, “রাতেই ওই যুবক ও মেয়েটিকেও হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ধর্ষণের আলামত খোঁজার জন্য মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে।”
বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, “এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, ওই যুবককে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ১৫ মিনিটের ভিডিওতে ওই যুবককে ঘরের মেঝেতে ফেলে পেটানোর দৃশ্য দেখা গেলে।
নদীবন্দর/জেএস