ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সেজামুড়া সীমান্তে মুরাদুর রহমান মুন্না (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করায় তার মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না সেজামুড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

পরিবারের দাবি, বিকেলে মুন্না তার ধানক্ষেত দেখতে সীমান্ত এলাকায় যান। সেখানে পৌঁছানোর পর বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে ভারতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাংলাদেশ সীমানায় ফেলে রেখে যায়।

বিজিবি সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত বলেন, মুন্নাকে হাসপাতালে আনার পর আমরা পরীক্ষা করি এবং মৃত ঘোষণা করি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

সরাইল ২৫-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মুরাদ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে আসে এবং পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

তবে তার মৃত্যু কীভাবে ঘটেছে, বিএসএফ তাকে মেরেছে কি না বা অন্য কেউ দায়ী, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

নদীবন্দর/এসএম