গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হয়েছেন ১০টি ট্রলারের জেলেরা। বুধবার গভীর রাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপকূল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বড় বাইজদা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সশস্ত্র ডাকাতরা অন্তত ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ঘিরে জেলেদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক জেলে আহত হন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডাকাতরা মাছ, জাল, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ লুটে নেয়। এই ঘটনায় উপকূলীয় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযানে জলদস্যুদের গ্রেফতারে কাজ চালাচ্ছে।
জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে বড় বাইজদা এলাকায় মাছ শিকার করছিলেন জেলেরা। এ সময় সশস্ত্র জলদস্যুরা তিনটি ট্রলার নিয়ে ঘিরে ফেলে এফ বি জুনায়েদ ট্রলারের জেলেদের। জেলেরা বাধা দিলে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে।
এছাড়াও পাথরঘাটার সগির কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি তারেক, এফবি তুফান, নুর মোহাম্মদের মালিকানাধীন এফবি রাজু ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানাধীন এফবি-মাসহ আরও ৯টি ট্রলারে হামলা করে জলদস্যুরা।
তারা জেলেদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জ্বালানি-রশদসহ শিকার করা মাছ ও জাল-রশিসহ ট্রলারে যা পেয়েছে সব নিয়ে গেছে। আহত জেলেদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজন গুলিতে আহত হয়েছেন। দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’
পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ভোলা উপকূল থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটারের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বরিশাল থেকে গিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ডাকাতরা বরিশালের ভাষায় কথা বলেছিল বলে জেলেরা পুলিশকে জানিয়েছে।
মেহেদী হাসান বলেন, ডাকতদের গ্রেফতারে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নদীবন্দর/জেএস