বিএনপির কেবলা এখন লন্ডনে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লন্ডনকে খুশি করার জন্যই তারা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
রোববার সকালে (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বিএনপির নয়াপল্টন অফিস হচ্ছে গুজবের ফ্যাক্টরি।
বিএনপি নেতাদের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই, টেমস নদীর পাড় থেকে পাঠানো ফরমায়েশি বার্তা তোতাপাখির মতো পড়েন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির নয়া পল্টন অফিস হচ্ছে গুজবের ফ্যাক্টরি, সেই ফ্যাক্টরি থেকে আসা অপপ্রচারের বাণীতে খোদ বিএনপির নেতাদের মধ্যেই অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি করছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জেল-জুলুম, নির্যাতন আর রাজপথ থেকে ওঠে আসা জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।
নির্বাচনে ব্যর্থ ও পরাজিত হয়ে বিএনপির নেতারা এখন হাঁকডাক শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের মাঠ গরমের অপচেষ্টাও সফল হবে না। এ সময় তিনি পরাজিত প্রার্থীদের রোদনভরা ব্যর্থতার কাহিনী শুনে জনগণের কী লাভ হবে বলেও জানতে চান।
তিনি বলেন, মিডিয়ায় আন্দোলনের ঝড় তুললেও বাস্তবে বিএনপি নেতারা রাজপথে থাকেন না। কেউ কেউ মাঠে থাকলেও ফেসবুকে দেওয়ার জন্য ছবি তোলেন, এরপর পালানোর পথ খোঁজেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বক্তব্য-বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি নেতারা প্রাণ দেওয়ার বাসনা ব্যক্ত করলেও তার মুক্তির জন্য ঢাকা শহরে ৫০০ লোকের একটি মিছিলও করতে দেখেনি জনগণ। তারা তাদের নেত্রীর মুক্তি ও চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতি করেছে বেশি বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নেতাদের বক্তৃতায় কথামালার ফুলঝুড়ি ফুটলেও তারা রাজপথকে ভয় পায়, আন্দোলনকে ভয় পায় উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন তারা জনগণকেও ভয় পায়। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি ভয়ের বৃত্তে এখন আবর্তিত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ৫০০ সদস্যের ঢাউস কমিটি থাকা সত্ত্বেও একটি বড় মিছিল যারা করতে পারে না, তাদের মেরুদণ্ডের শক্তি সম্পর্কে জনগণ বুঝতে পেরেছে বলেই নির্বাচনে তাদেরকে ভোট দেয় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, টেমস নদীর তীর থেকে ঘোষণা দিয়ে পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় জোয়ার আনা যাবে না। জনবিচ্ছিন্ন এবং নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ক্ষমতার মসনদে আরোহণের দিবাস্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
নদী বন্দর / জিকে