গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে গাজায় কমপক্ষে ৩৬টি ইসরায়েলি হামলায় কেবল ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা যদি বর্বরতা না হয়, তাহলে আমি আপনাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই যে এটা কী?
শুক্রবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে ১ হাজার ৫৪২ জন নিহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৯১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৮১ জন আহত হয়েছে। তবে এই উপত্যকার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যারা চাপা পড়েছেন আশঙ্কা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস গাজায় ইসরায়েলের ত্রাণ অবরোধের কারণে আরও রোগ ও মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সেখানের ১০ হাজারের বেশি মানুষকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে। শুধু তাই নয় ক্রমাগত নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ওই উপত্যকার ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।
নদীবন্দর/এসএন