কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদে গিয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
ফৌজিয়া খান বলেন, ‘আমি আসার পর সবাই জানতে চেয়েছেন মোট টাকার পরিমাণ, শুধু আপনারা না এটা দেশবাসীর জানা উচিত। এর আগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেন জানায়নি সেটা আমি বলতে পারব না।
‘আমার মনে হয়েছে এখানে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। বর্তমানে মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা।’
চার মাস ১২ দিন পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এখন টাকাগুলো গণনার কাজ চলেছে। প্রায় চার শতাধিক মানুষ টাকাগুলো গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। তবে আজকের প্রাপ্ত অর্থ গণনার কাজ চলমান থাকায় এটি আগের হিসাবের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।
দানবাক্স খোলার সময় জেলা প্রশাসক ছাড়াও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ দানবাক্স খোলার সময় পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়া বিপুল স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, মসজিদের দানের অর্থ মসজিদ পরিচালনা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। মসজিদটিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’, যেখানে একসঙ্গে ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
নদীবন্দর/জেএস