ভোলার বোরহানউদ্দিনে চলমান এসএসসি ও সমমানের এক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সোয়া ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম ওমর কাজ। তিনি ওই একই গ্রামের শাহজাহান কাজী বাড়ির বশির কাজির ছেলে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, আমি চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি এবং প্রথম পরীক্ষা দিয়েছি। ২য় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শুক্রবার রাতে পড়াশোনা করছিলাম। রাত সোয়া ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যাচ্ছিলাম।
এমন সময় প্রতিবেশী ওমর কাজি দৌঁড়ে এসে আমার মুপ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাগানে নিয়ে যান। আমি চিৎকার দিতে চাইলে সে হুমকি দিয়ে বলে চিৎকার দিলে মেরে ফেলব। পরে ওমর কাজি আমাকে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগীর মা ও বড় ভাই অভিযোগে জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে ঘরে এসে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাতেই এ ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাতে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীর মাকেও গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা যুবকের পরিবার।
পরে স্থানীয় থানাকে অবগত করে তাকে চিকিৎসার জন্য বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স বেবি নাজনীন বলেন, ওই কিশোরীকে আজ শনিবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, বোরহানউদ্দিনের হাসাননগরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে আছে। বিষয়টি যাছাই-বাছাই করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে তার সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
নদীবন্দর/এসএন